 
                                                                        
                                    বাংলা চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে প্রায় তিন দশক পর নতুন তথ্য সামনে এসেছে। এতদিন তার মৃত্যু আত্মহত্যা হিসেবে বিবেচিত হলেও, মামলার রিভিশন আবেদনের রায়ের পর দায়ের করা নতুন হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
আসামি রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি—তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। রেজভীর দাবি, সালমানের শাশুড়ি লতিফা হক লুসি রাজধানীর গুলিস্তানের এক বারে বসে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং ১২ লাখ টাকায় কিলার ভাড়া দেন।
এই পরিকল্পনায় অংশ নেন আলোচিত ব্যবসায়ী ও প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ, সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, সালমান শাহর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডন ও আরও কয়েকজন। রেজভীর বর্ণনা অনুযায়ী, সামিরার সঙ্গে ডনের গোপন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে সামিরার মায়ের সঙ্গে চিত্র প্রযোজক আসামি আজিজ মোহাম্মদের সম্পর্ক ছিল। তাই সালমান ডনকে এড়িয়ে চলতেন।
শুটিং শেষে গভীর রাতে ডন, ফারুক, ডেভিডসহ কয়েকজন সালমানের বাসায় গিয়ে তাকে ক্লোরোফর্ম ও ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করে এবং এত প্রত্যক্ষভাবে সামিরা ও তার মা সাহায্য করে। এরপর ঘটনাস্থল এমনভাবে সাজানো হয়, যেন এটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়।
রেজভীর পাশাপাশি আরেক আসামি রুবীও আদালতে স্বীকার করেছেন যে, সালমান শাহর মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত হত্যা।
মন্তব্য করুন: