[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
১৮ বৈশাখ ১৪৩২

ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোঃ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ ভুইয়া, বীর প্রতীক

স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা (পর্ব-১৫)

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:১২ এএম

ছবি, ফেসবুক থেকে

ক্যাপ্টেন মোঃ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ ভুইয়া, বীর প্রতীক, ই বেংগল ২১ ডিসেম্বর ১৯৮০ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ৩য় বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩৫ ই বেংগল ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন তিনি ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ তারিখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাপ্তাই এর অদূরে ওয়াসা জোনের পাগলা ছড়িতে অবস্থিত শান্তিবাহিনীর ক্যাম্পে রেইড পরিচালনা করেন। অভিযান এলাকায় পাহাড়ের ঢালু

ক্যাপ্টেন মোঃ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ ভুইয়া, বীর প্রতীক, ই বেংগল ২১ ডিসেম্বর ১৯৮০ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ৩য় বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩৫ ই বেংগল ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন তিনি ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ তারিখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাপ্তাই এর অদূরে ওয়াসা জোনের পাগলা ছড়িতে অবস্থিত শান্তিবাহিনীর ক্যাম্পে রেইড পরিচালনা করেন। অভিযান এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে পৃথক দুইটি ঘরে শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীদের অবস্থান চিহ্নিত হলে তিনি এলাকাটি তিন দিক থেকে অবরোধ করেন।

এ সময় একজন দুষ্কৃতিকারী এসএমজি হাতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে স্বয়ংক্রিয় গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেইসাথে পার্শ্ববর্তী পাহাড় হতেও গুলি আসতে থাকে। ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন দুষ্কৃতিকারীদের লক্ষ্য করে সুনিপুণ দক্ষতায় ফায়ার করলে তারা বিশৃংখল হয়ে পড়ে। এ সময় শান্তিবাহিনীর একজন কমান্ডার আহত অবস্থায় গুলি বর্ষন করতে করতে ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এর দিকে ধাবিত হয়। বিপরীতে তিনি শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন এবং শান্তিবাহিনীর কমান্ডারকে ঘায়েল করেন।

পরবর্তীতে ৩০ নভেম্বর ১৯৮৬ তারিখে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্যাপ্টেন মোঃ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ ভুইয়া'কে তার অদম্য সাহসিকতার জন্য বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।

(চলবে)

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর