[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
১৮ বৈশাখ ১৪৩২

মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা বলে কিছুই নেই!


প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ১২:১০ পিএম

ছবি: গ্রাফিক্স

যত গোলকধাঁধা যেন রয়েছে মানুষের মন আর মস্তিষ্কের অন্দরে । মনকে চালনা করে আমাদের মস্তিষ্কই । ক্রমাগত অনুমান করতে থাকে কার পরে কী হবে। আবার কখনো মনে হয় মন যা চায় সেই অনুযায়ী নির্দেশ আসতে থাকে মাথার ভেতরে।

 

যত গোলকধাঁধা যেন রয়েছে মানুষের মন আর মস্তিষ্কের অন্দরে । মনকে চালনা করে আমাদের মস্তিষ্কই । ক্রমাগত অনুমান করতে থাকে কার পরে কী হবে। আবার কখনো মনে হয় মন যা চায় সেই অনুযায়ী নির্দেশ আসতে থাকে মাথার ভেতরে।

ধরুন আপনি ঘুম থেকে উঠে আপনার মনে হলো, হাতে মোবাইলটা নিয়ে দেখি অথবা আজ চায়ের বদলে কফি খেলে কেমন হয়! এই দৈনন্দিন সিদ্ধান্তগুলো যখন আমরা সচেতনভাবে নেই তখন মনে হতে পারে নিজের ইচ্ছামতোই সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি আমরা।

কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল হতে পারে। কারণ যে সিদ্ধান্ত বা দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপ তার সবটাই নাকি পূর্বনির্ধারিত। অর্থাৎ, স্বাধীন ইচ্ছা বলে যে বিষয়টির ধারণা করা হয়, আদতে তা বড়সড় ফাঁকি! এমনটাই উঠে এসেছে নতুন গবেষণায়।

দার্শনিকেরা হাজার হাজার বছর ধরে স্বাধীন ইচ্ছার ধারণা নিয়ে তর্ক করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে স্নায়ুবিজ্ঞানীরা এই বিতর্কে যোগ দিয়েছেন। তারা বলছেন, নিজের ইচ্ছা বলে নাকি কিছুই হয় না।

সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, আমরা যাই করি না কেন তার অন্তত আধ সেকেন্ড আগেই আমাদের মস্তিষ্ক স্থির করে নেয় কী করতে হবে। যদি আপনি টিভি চালু করার জন্য রিমোটে চাপ দেন, সেই কাজটিও করার আধ থেকে ৫ সেকেন্ড আগেই মস্তিষ্ক স্থির করে ফেলেছে আপনাকে দিয়ে কোন কাজ করাবে!

তা হলে মনে হতে পারে আমাদের মনের ইচ্ছা কি আমাদের মগজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? চেতনা বা স্বাধীন ইচ্ছা বলে যা ভাবা হয়ে থাকে তা কি আদতে ফাঁকি! সবটাই আগে থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের মাথা!

গবেষকেরা নানা পরীক্ষানিরীক্ষার শেষে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে মস্তিষ্কে অনেক প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় ভাবে এবং আমাদের চেতনা ছাড়াই ঘটে। তারা বলছেন, সচেতন অবস্থায় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়াটি একজন ব্যক্তি উপলব্ধি করার অনেক আগেই শুরু করে দেয় মস্তিষ্ক। এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ‘নেচার নিউরোসায়েন্সে’ প্রকাশিত হয়েছে।

চেতনাই হলো একমাত্র বস্তু যা মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে প্রভেদ তৈরি করেছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

 

আজবার্তা/এসএইচ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর