[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
১৮ বৈশাখ ১৪৩২

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল তৈরি হলো যেভাবে


প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১০ পিএম

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল

পৃথিবী হচ্ছে সৌরজগতের বসবাস যোগ্য আদর্শ গ্রহ। জীবনধারণের জন্য পৃথিবীর অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ুমণ্ডল। পৃথিবীর চারপাশ ঘিরে বেষ্টিত রয়েছে বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান। একেই বায়ুমণ্ডল বলা হয়। তবে এই বায়ুমণ্ডল কি শুরু থেকেই ছিল?


বিজ্ঞানীরা বলেন, সৃষ্টির শুরুর দিকে পৃথিবী এতটা উত্তপ্ত ছিল যে ভূ-পৃষ্ঠের ওপর দাঁড়ানো যেত না। আবার একটা সময় এত শীতল ছিল যে খোলা মাঠে দাঁড়ালে রক্ত–মাংস জমে যেতো। এই সুবিশাল নীল আকাশ আজকের অবস্থায় এসেছে বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তনের মাধ্যমেই।
সংক্ষেপে বলতে গেলে—পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অভিকর্ষজ বলের কারণে বিদ্যমান। প্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বছর আগে যখন পৃথিবী গঠিত হয়েছিল, তখন এটি মূলত গলিত অবস্থায় ছিল। এর কাছাকাছি খুব সামান্য বায়ুমণ্ডল ছিল। তবে পৃথিবী ঠান্ডা হতে শুরু করলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে উদ্‌গীরিত গ্যাসগুলো থেকে বায়ুমণ্ডল গঠিত হয়।
স্মিথসোনিয়ান পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের (এসইআরসি) তথ্য অনুযায়ী, এই প্রাচীন বায়ুমণ্ডল আজকের থেকে খুব ভিন্ন ছিল। এতে হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন এবং আধুনিক বায়ুমণ্ডলের তুলনায় ১০ থেকে ২০০ গুণ বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ছিল।
প্রায় ৩ বিলিয়ন বছর পর, ফটোসিনথেসিস (সালোকসংশ্লেষণ) ব্যবস্থা বিকশিত হয়। যার অর্থ হলো, এককোষী অণুজীব সূর্যের শক্তি ব্যবহার করে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পানির অণুগুলোকে চিনি এবং অক্সিজেন গ্যাসে রূপান্তরিত করে। এটি অক্সিজেনের স্তরকে নাটকীয়ভাবে বাড়িয়ে দেয়। এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘দূষণ’ বলা যেতে পারে, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে ধীরে ধীরে আজকের রূপে আসতে সহায়তা করেছে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর