“প্রশান্তিময় আবাসনের প্রত্যয়ে”এই স্লোগানে পথচলা শুরু করা বাংলা সিটি অতিক্রম করলো তার প্রথম বছর। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-১ আসনের অন্তর্গত নবাবগঞ্জে শান্ত ও সম্ভাবনাময় এক অঞ্চলে গড়ে উঠছে এই বিশাল স্যাটেলাইট প্রকল্প- বাংলা সিটি। প্রায় ৮ হাজার বিঘা জমির ওপর নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের এই আবাসিক শহর কেবল একটি হাউজিং প্রকল্প নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনযাত্রার রূপরেখা।
এ উপলক্ষে ১৭ই মে, শনিবার, সকাল ৮টা থেকে দিনব্যাপী ঐতিহাসিক ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলা সিটির প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
বাংলা সিটি পিএলসির চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ ইমামুল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা সিটি পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, জমিতে বিনিয়োগ করা সবচেয়ে লাভজনক। আবার জমিজমার মধ্যেই সবচেয়ে ভেজাল বেশি হয়। সুতরাং, জমিজমা কেনার আগে বিশেষ করে যারা বড় ধরনের প্রজেক্ট করবেন তারা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একটি অনুমোদন বা ছাড়পত্র নিবেন। নদীর পাড়ে জমি কিনতে গেলে সেখানেও কিছু নিয়ম মানতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সি এস মালিকানা আর এস মালিকানা দেখা জরুরী। এসব বিষয় পরিস্কারভাবে না দেখে বা না জেনে জমিজমা কিনলে, তাকে নানান হয়রানির শিকার হতে হয়, মামলা মোকদ্দমার সম্মুখীন হতে হয়।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস বাংলাসিটি পিএলসি এমন সমস্যায় পড়বে না। যেহেতু এটা একটি সম্মিলিত প্রয়াস সুতরাং এ বিষয়গুলি বাংলাসিটি পিএলসি যথাযথভাবে লক্ষ্য করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, যে কোন প্রতিষ্ঠান সাফল্য পেতে চাইলে এর প্রধান শর্তই হলো সততা । এই সততা যে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকবে তাদের সাফল্য নিশ্চিত। তাদের কখনো পেছন ফিরে তাকাতে হয়না। আর যখন কোন প্রতিষ্ঠানের গুড উইল নষ্ট হয়ে যায় তখন সে আর কখনো সেকেন্ড প্রজেক্ট গড়তে পারে না। আশা করি বাংলাসিটি কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছেন।
প্রধান অতিথি বলেন, অন্যদিকে দেখাযায় এ ধরনে প্রজেক্ট থেকে গ্রাহকগণ জমি কিনেই পরদিন থেকে জমির খোঁজ নেয়া শুরু করেন। ভাই আমার জমির কি হলো, আমি কখন বুঝে পাবো? বাড়ি বানাবো কবে ইত্যাদি ইত্যাদি নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। এভাবে প্রতিষ্ঠানের মালিকের প্রতি এক রকম মেন্টাল টর্চার চলতে থাকে। তাই সকলকে ধৈর্য ধরে লগ্নি করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে কোন কাজ করা যাবেনা।
সবশেষে বাংলাদেশ সরকারের এই সাবেক প্রাজ্ঞ কর্মকর্তা বাংলাসিটি পিএলসির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
বাংলাসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, যিনি বাংলা সিটি পিএলসিতে আসবেন তিনি নিশ্চিতভাবেই লাভবান হবেন ইনশাআল্লাহ্। সুতরাং প্রত্যেকের কাছে আমার প্রত্যাশা, তারা তাদের নিজেদের লাভের জন্য, নিরিবিল পরিবেশে শান্তিময় আবাসন গড়ে তোলার জন্য বাংলাসিটিতে ইনভেস্ট করবেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা ক্বারী খন্দকার শহীদুল হক ও জনাব মোস্তফা কামাল তোহা।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান জুড়ে ছিলো বাংলা সিটির প্রজেক্ট অ্যানিমেশনের দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনা, অভ্যাগতদের ফটোসেশন, পারস্পরিক মতবিনিময়, সেলিব্রেশন সেশন, র্যাফেল ড্র এবং সারপ্রাইজ গিফট। পরিশেষে আমন্ত্রিত সঙ্গীত ও নাট্যশিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নাটক 'শান্তির নীড়'।
উল্লেখ্য, বাংলা সিটি প্রকল্পটি সাতটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে থাকছে পরিকল্পিত ব্লক, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, হাসপাতাল, নারী-বান্ধব মার্কেট ও কবরস্থানসহ প্রয়োজনীয় সকল নাগরিক সুবিধা। মহাকবি কায়কোবাদের স্মৃতি বিজড়িত ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত এই শহর শুধু বসবাসের ঠিকানা নয় বরং এটি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া একটি আত্মিক সম্পদ।
বাংলা সিটির লক্ষ্য: একটি সুন্দর, নিরাপদ এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা, যা আগামী ১০০ বছর পরেও থাকবে যুগোপযোগীu ও নতুনের মতোই।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ঢাকা, ১৭ই মে ২০২৫।
মন্তব্য করুন: