[email protected] রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

বাবার সাহসিকতায় বেঁচে গেল মেয়ে!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৫ ১৮:০৭ পিএম

সংগৃহীত

এক মুহূর্তের সিদ্ধান্ত, আর তাতেই রক্ষা পেল পাঁচ বছরের শিশু। বাবা হিসেবে ব্যক্তি যা করলেন, তা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া। হাড়হিম করা ভিডিও দেখে অনেকেই বাবার সঙ্গে কাটানো এমন নানা গল্প শেয়ার করছেন।

ঘটনা বাহামাসের। এই এলাকা থেকে দক্ষিণ ফ্লোরিডা ফিরছিল একটি জাহাজ। হঠাৎই ডেক থেকে পড়ে যায় একটি শিশুটি। চোখের পলক ফেলার আগেই তার বাবা ঝাঁপিয়ে পড়েন চতুর্থ ডেক থেকে উত্তাল সমুদ্রে। ততক্ষণে ভয়ে হাতের নখ কামড়াতে শুরু করেছেন অনেকে। কেউ কেউ বলেও ফেলেন, 'লোকটা তো ছোট বিন্দুর মতো হয়ে গেল, চোখের ডুবে গেল।'

উত্তাল সমুদ্রে পাঁচ বছরের শিশু আর তার বাবা তখন ভেসে থাকার চেষ্টায়। জাহাজের নাবিক জানতেন না এই ঘটনার কথা তাই ছুটিয়ে চলেছেন যানটিকে। কিন্তু ইমার্জেন্সি ব্রেক কষতেই বুঝতে পারেন কিছু হয়েছে। ঘটনা জেনে দ্রুত জাহাজ ঘুরিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। জাহাজে ফেলেন লাইফ বোট ও অন্যান্য সরঞ্জাম। প্রশিক্ষিত রেসকিউ দল পৌঁছয় জলে ভেসে থাকা বাবা-মেয়ের কাছে।

যাত্রীদের মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়ে আবেগে ভরা মুহূর্ত। এক হাতে মেয়েকে আঁকড়ে ধরেছিলেন বাবা, অন্য হাতে বাঁচার চেষ্টায় ভাসছিলেন জলে। রেসকিউ বোট পৌঁছতেই মেয়েকে তুলে দেন তাতে। পরে নিজে ওঠেন। ততক্ষণে ডেকজুড়ে খুশির কান্না আর হাততালি। এক যাত্রী বলেন, 'মেয়েটার মা কাঁদছিলেন। কিন্তু যখন দু’জনকে টেনে তোলা হল, তখনই ডেকের সমস্ত লোকজন হাউহাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, উনিই ওদের বাঁচিয়ে দিলেন।'

ডিজনি ক্রুজ কর্তৃপক্ষ এই তৎপরতার জন্য তাদের কর্মীদের কুর্নিশ জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, 'আমাদের ক্রু সদস্যরা অসাধারণ দক্ষতা ও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা কতটা মজবুত ও কার্যকর।'

ঘটনাটি ওই ক্রুজ ভ্রমণের শেষ দিনে ঘটেছে। এরপরই জাহাজ ফোর্ট লডারডেলে ফিরে আসে।

সোর্স: আজকের পত্রিকা

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর