 
                                                                        
                                    আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পোস্টাল ভোটের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরের ৭২ ঘণ্টা নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি মোকাবিলায় দুটি কমিটি কাজ করবে। ডিজইনফরমেশন রোধে ফেসবুকের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৯২ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন—এর মধ্যে ৯০ হাজার সেনা এবং বাকিরা নৌবাহিনীর সদস্য। সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করবেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ সদস্যদের বডি ক্যামেরা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে।
বৈঠকে নির্বাচন বানচালের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত তিন নির্বাচনে যুক্ত কর্মকর্তাদের এবার দায়িত্বে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রেস সচিব জানান, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন: