বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে আগামী ১ আগস্ট। এ অবস্থায় দেশের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি ও শ্রমবাজারে এক ভয়াবহ সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতসহ চামড়া, প্লাস্টিক, কৃষি, লজিস্টিকস ও আর্থিক খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি কেবল একটি বাণিজ্য সংকট নয়, এটি জাতীয় জরুরি অবস্থা। যথাসময়ে সরকার হস্তক্ষেপ না করলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান হারাবে বাংলাদেশ, যা পুনরুদ্ধারে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে এবং ৫০ লক্ষাধিক চাকরি ঝুঁকিতে পড়বে।
বর্তমানে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে সরাসরি ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে এবং আরও ১০ লাখ কর্মসংস্থান রয়েছে সংশ্লিষ্ট খাতে। শিল্প নেতারা বলছেন, যদি অর্ডার কমে যায়, তাহলে মাত্র দুই মাসের মধ্যেই ১০ লাখের বেশি চাকরি হারাতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৩৭৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৮০১টি প্রতিষ্ঠান তাদের মোট রপ্তানির অর্ধেকের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে করে, ফলে তারা বিশেষভাবে ঝুঁকিতে।
ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাত যেমন স্পিনিং, ডাইং, এক্সেসরিজ ও কেমিক্যাল শিল্প রপ্তানি-নির্ভর। অর্ডার কমলে এসব খাতেও উৎপাদন ব্যাহত হবে, কর্মী ছাঁটাই ঘটবে। তদ্রপ, পরিবহন ও লজিস্টিকস খাত, সিঅ্যান্ডএফ, গুদাম ব্যবসা সবগুলোই রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। অর্ডার কমলে তাদের রাজস্বেও বড় ধস নামবে।
এছাড়া রপ্তানি কারখানাগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছোট ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অর্ডার কমার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সোর্স: বিডিনিউজ২৪.কম
মন্তব্য করুন: