২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে (FDI) ১১৪ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে নিট এফডিআই হয়েছে ৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৭৬ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে মোট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১৫৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এর মধ্যে মুনাফা বিতরণ ও আন্তঃকোম্পানি ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে ৭১ কোটি ১৫ লাখ ডলার বের হয়ে যাওয়ার পর নিট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
গত বছরের একই সময়ে নিট এফডিআই ছিল ৪০ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, যা থেকে বোঝা যায় বছরে এফডিআই বেড়েছে ১১৪.৩১ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।
মার্চ ২০২৫ শেষে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ১০৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ১২.৮৮ লাখ কোটি টাকা। এর আগের প্রান্তিকে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ডলার। সরকারি খাতের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৪৮৯ কোটি ডলার এবং বেসরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে ১,৯৮৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.৭২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ২৮ মাসে সর্বোচ্চ। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী (BPM6) রিজার্ভের পরিমাণ ২৬.৬৯ বিলিয়ন ডলার। আকু পরিশোধের পরে রিজার্ভ কিছুটা কমে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার এবং BPM6 অনুসারে ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন সরকারের নীতিমালা, জমির প্রাপ্যতা ও সেবাসংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সহজ করার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রাজনৈতিক ও নীতিগত স্থিতিশীলতা আরও উন্নত হলে বিদেশি বিনিয়োগের বৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হতে পারে।
সোর্স: প্রথম আলো
মন্তব্য করুন: